মামলার আসামী না হয়েও নাম ও পিতার নামে মিল থাকায় অন্যের মামলায় ৭ দিন কারা ভোগ করে মুক্তি পেয়েছে পটুয়াখালীর গলাচিপার হাবিবুর রহমান (৮০)। গতকাল বিকেলে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক আবুল বাসার মিয়া তাকে মুক্তির আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে শেষ বিকালে তাকে মুক্তি দেয় জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। হাবিবুর রহমানের আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেন তপন জানান, চেক জালিয়াতির মামলায় ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ গলাচিপা পৌর এলাকার মুজিব নগর রোডের হাবিবুর রহমানকে ১ বছরের সাজা দেন পটুয়াখালী যুগ্ন ও দায়রা জজ জিন্নাৎ জাহান। কিন্তু গত ৪ অক্টোবর দুপরে ওই হাবিবুর রহমানের স্থলে পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার ৮০ বছরের নিরপরাধী হাবিবুর রহমানকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে গলাচিপা থানার সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আল-আমিন।
নানা অনুনয় বিনয়সহ ওই মামলায় তার কোন সম্পৃক নেই জানালেও তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ছাড়া পেয়ে হাবিবুর রহমান সরকারের কাছে বিচার দাবি করছেন। অপরদিকে দন্ডপ্রাপ্ত মূল আসামিকে ১০ অক্টোবর বিকেলে গ্রেফতার করে জেলা কারাগাওে প্রেরণ করে গলাচিপা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেল খেটে ছাড়া পাওয়া বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান জানান, আমি বিনা দোষে ৭ দিন জেল খাটলাম এ জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাই। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এএসআই আল আমিনকে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহফুজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে গলাচিপার প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই আল-আমিনকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।